বর্ষায় অপরুপ বিলাইছড়ি
ধুপপানি ঝর্ণা এবং মপ্পোছড়া ঝর্ণা ভ্রমণ
জাকির হোসেন
বিল্লাহ মামুন ভাই অনেক দিন আগে ধুপপানি ঝর্ণা এবং মপ্পোছড়াঝর্ণা ভ্রমণের ইভেন্টে দাওয়াত দিয়েছিল।
অনেক দিন আগে হওয়াতে আমি তখন বুঝতে পারিনি যেতে পারব কি পারব না।
দূর্গাপূজা এবং আশুরার দুইদিন বন্ধ।
এক সপ্তাহ আগে সাইফুল আর সুহৃদ বলে চল, এই বন্ধে কোথাও ঘুরতে যাই।
সাইফুলকে বলি যাবো যদি সব খরচ তুমি দাও।
সাইফুল বলল দিব।
আমরা ট্যুর প্ল্যান করি।
কোথাও যাওয়া যায় তা নিয়ে চিন্তা করি।
সুহৃদ বলে সিলেটের হামহাম ঝর্ণা দেখতে যাবে।
মামুন ভাই আমাকে ধুপপানি ঝর্ণা এবং মম্পছড়া ঝর্ণা ঘুরতে যাওয়ার ইভেন্টে দাওয়াত দিয়েছিল, তা মনে আছে।
আমি সুহৃদ আর সাইফুলকে বলি চলো, মামুন ভাইদের সাথে যাই।
তারা রাজি হয়।
মামুন ভাইকে মেসেজ দেই, আমরা তিনজন যাবো আপনাদের সাথে।
মানুন ভাই বলে, জাকির তুমি এবার ও লেট।
কারণ এর আগে মামুন ভাইয়েরা টাঙ্গুরের হাওয়ার যাওয়ার দুই এক দিন আগে আমি জানিয়েছিলাম আমিও যাবো।
টিকেট আর ক্যপাসিটি পূর্ণ হওয়াতে যেতে পারি নি।
এবার ও নাকি দেরি করে ফেলছি।
তারপরও উনি জানালো, যদি টিকেট ম্যানেজ করতে পারে, আমাকে জানাবে।
রাতে জানালো টিকেট ম্যানেজ হয়নি।
সাইফুল ঢাকা থেকে চট্রগ্রামের টিকেট কেটে নিল সহজের মাধ্যমে।
মামুন ভাইকে জানিয়ে দিল আমরাও যুক্ত হব উনাদের সাথে।
আমাদের প্ল্যান হচ্ছে প্রথমে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম যাওয়া।
চট্রগ্রাম থেকে এরপর লোকাল বাস বা CNG করে কাপ্তাই যাওয়া।
সোমবার রাতে আমরা রওনা দিয়েছি চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে।
গাবতলি থেকে বাস।
হানিফ পরিবহন।
সাড়ে দশটায় ছাড়ার কথা লেখা ছিল।
আমরা দশটার দিকেই গাবতলি পৌঁছিয়েছি।
বাসে উঠেছি সময় মত।
গাবতলি থেকে সায়দাবাদ এরপর যাত্রাবাড়ি পার হতেই রাত একটা বেজে গেলো।
রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল।
চট্রগ্রাম আমাদের নামিয়ে দিয়েছে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে।
এরপর আমরা CNG করে কাপ্তাই দিকে আসার একটা স্টেশনে এসেছি, কাপ্তাই মোড় বা এমন কিছু।
এখানে এসে অন্য আরেকটা CNG তে উঠেছি কাপ্তাই আসার জন্য।
মামুন ভাইয়েরা তখনো বাসে।
আমরা নয়টা ১৫ এর দিকে কাপ্তাই পৌঁছিয়েছি।
আমরা পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে উনারা এসে পৌঁছিয়েছে।
সবার কাপ্তাই পৌঁছানোর কথা ছিল ৬টার মধ্যে।
কিন্তু জ্যামের কারণে সবারই দেরি হয়েছে।
মামুন ভাইয়েরা বিশাল দল নিয়ে এসেছে।
আমরা প্রায় ২০ জনের একটা দলে পরিণত হলাম।
কাপ্তাই এসে সকালের নাস্তা খেয়ে নিলাম আমরা।
এরপর ট্রলারে উঠেছি।
কাপ্তাই লেক এর মধ্যে দিয়ে বিলাইছড়ি আসব।
লেকের পানি গুলো কি শান্ত, সুন্দর।
ছোট ছোট পাহাড়ের মাঝে লেক।
দারুণ লাগছিল।
বিলাইছড়ি আসার পথে গাছকাটা চর আর্মি ক্যাম্পে আমাদের থামতে হলো।
এখানে আমাদের ট্রলারের নাম্বার, আইডিকার্ড চেক করল।
এরপর আমাদের নাম লিখে আমাদের বিলাইছড়ি আসার অনুমতি দিল।

Comments
Post a Comment